সরকার এ বছর জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ঘোষণা করেছে। অথচ তার পরবর্তি বাজেটেই নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ (১,২৩৭ কোটি টাকা) গতবারের তুলনায ৪ কোটি টাকা কমে গেছে। নারী নীতি বাস্তবায়নের জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনাও বর্তমান বর্তমান বাজেটে নেই। নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দকৃত খাতসমূহ বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে বরাবরের মত এবারেও নারীকে কল্যাণ-ভিত্তিক অ্যাপ্রোচ থেকে দেখা হচ্ছে। যা নারী উন্নয়ন নীতির মূল দৃষ্টিভঙ্গির সাথে খাপ খায় না।
একই সাথে বরাদ্দের হিসাবের পাশাপাশি উল্লিখিত বরাদ্দ নারী উন্নয়নে কীভাবে কাজ করছে তার বিশ্লেষণও জরুরি। নারীর প্রকৃত ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হলে শুধুমাত্র প্রকল্পভিত্তিক আর্থিক সুবিধা সংক্রান্ত কর্মসূচিই যথেষ্ট নয়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীর অংশগ্রহণসহ ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনের সব স্তরে নারীর সমমর্যাদা ও অবস্থান নিশ্চিত করতে নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক সব আচার, প্রথা, আইন ও নীতিমালার পরিবর্তন ও সংশোধনে আইনী, প্রশাসনিক ও সামাজিক বিভিন্ন উদ্যোগের সমন্বয় প্রয়োজন। সে লক্ষ্যে নারী উন্নয়নে গৃহীত কর্মসূচি নারীর প্রকৃত ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করছে কিনা তার মূল্যায়নপূর্বক গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির প্রয়োজনীয় পুনর্বিন্যাস করে সঠিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
জেন্ডার-বিভাজিত তথ্যউপাত্ত
রাষ্ট্রীয় নীতিসমূহের বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা প্রণয়ন, নীতিসমূহের সুষম বাস্তবায়ন ও সুযোগসুবিধা বণ্টনে বৈষম্য নিরোধের জন্য সকল মন্ত্রণালয়ের জেন্ডার-বিভাজিত তথ্যউপাত্ত প্রস্তুত করবার উদ্যোগ নেওয়া দরকার। ২০১০-’১১ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় মাননীয় অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে ১০টি মন্ত্রণালয়ের জেন্ডার বিভাজিত উপাত্ত উপস্থাপন করেছিলেন। যা ২০১১-১২ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় ২০টি মন্ত্রণালয়ে উন্নীত হয়েছে।
শিক্ষা
২০১১-১২ অর্থবছরে শিক্ষা ও প্রযুক্তিখাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২০,৩৩৯ কোটি টাকা যা মোট বাজেটের ১২.৪% এবং মোট জিডিপির ২.২৬%। শিক্ষাক্ষেত্রে এই বাজেট গত বছরের মোট বাজেট বরাদ্দের হার বিবেচনায় ১.৫% কম।
গত কয়েক বছর ধরে প্রাথমিক স্তরে নারীর জন্য বাজেটে বরাদ্দ থাকার ফলে ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থীর মধ্যে সংখ্যাগত বৈষম্য দূর হয়েছে। যার ফলে প্রাথমিক শিক্ষাস্তরে এমডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও বাংলাদেশ সফল হয়েছে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই। কিন্তু ঝরে পড়ার হার এখনো অগ্রহণযোগ্য পর্যায়ে থেকে যাওয়ায় মাধ্যমিক ও উচ্চতর শিক্ষায় এখনো ব্যাপক জেন্ডার বৈষম্য রয়েছে। গত ১০ বছরে এই বৈষম্য কমেছে অতি সামান্যই। মেয়েদের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষাগ্রহণ অবৈতনিক করে ও শিক্ষা উপবৃত্তি বাড়িয়েও এই বৈষম্য কমানো যাচ্ছেনা। বাল্যবিবাহ ও যৌণ হয়রানী এর পেছনে অন্যতম প্রধান কারণ। তাই মেয়েদের শিক্ষার হার বাড়াতে হলে এই সামাজিক সমস্যাগুলো দূর করার প্রতি গুরুত্ব বাড়াতেই হবে।
প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়নের জন্য ৩০টি মডেল মাদ্রাসা গড়ে তোলা ও ৩১টি মাদ্রাসায় অনার্স কোর্স চালু করার যে উদ্যোগ গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে তা শিক্ষানীতি অনুযায়ী এক ও অভিন্ন পাঠ্যসূচি ও পাঠ্যক্রম নির্ভর অসাম্প্রদায়িক চেতনামুখি জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এর সাথে সাংঘর্ষিক। আর ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক চেতনা বরাবরই নারীর বিরুদ্ধে যায়।
স্বাস্থ্য, প্রজনন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা
আগামী ২০১১-১২ অর্থবছরে স্বাস্থ্যখাতে মোট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮ হাজার ৮৮৬ কোটি টাকা যা মোট বাজেটের ৫.৪% এবং মোট জিডিপির মাত্র ০.৯৮% যেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মাঝারি মানের স্বাস্থ্যসেবার জন্যও জিডিপির ৫% বরাদ্দ থাকা দরকার। গত ২০১০-১১ অর্থবছরে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ ছিল মোট বাজেটের ৬.২% কিন্তু এবার দেয়া হয়েছে মোট বাজেটের মাত্র ৫.৪% বরাদ্দ যেখানে শুধুমাত্র প্রজনন স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্যই প্রতিবছর ৯% বাজেট বরাদ্দ প্রয়োজন। অর্থমন্ত্রী ঘোষিত বাজেট বক্তৃতায় স্বাস্থ্যসেবায় ইতিবাচক কর্মসূচি হিসেবে চলতি বাজেটে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ৯৭টি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, ইউনিয়ন পর্যায়ে ৩ হাজার ৯০০টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র এবং ৩০ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে মা, শিশু ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং পরিবার-পরিকল্পনা সেবার পরিধি সম্প্রসারণ করার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়নে এমডিজির লক্ষ্য অর্জন করতে হলে সুবিধাবঞ্চিত ও দুর্গম অঞ্চলে যথাযথভাবে মাতৃস্বাস্থ্য ও প্রসূতি সেবা পৌছানো নিশ্চিত করা দরকার। এছাড়াও সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে ধাত্রী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাটি নতুনভাবে চালু ও আধুনিকীকরণ করা এবং ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের সকল হাসপাতালে জরুরি ধাত্রীসেবা কার্যক্রম চালু করা অপরিহার্য। নারীর সার্বিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে নারী ডাক্তারের সেবা নিশ্চিত করা ও নারীর পেশাগত স্বাস্থ্য ঝুঁকিসংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
নারী উন্নয়ন নীতিতে নারীর ক্ষমতায়নের যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, সেখানে পৌঁছতে হলে নারীর প্রজনন কর্মভার কমিয়ে এনে সামাজিক ও উপার্জনমূলক কর্মকাণ্ডে তাদের কার্যকর অংশগ্রহণের লক্ষ্যে স্বাবলম্বী নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিতে হবে। এজন্য জরুরিভিত্তিতে জন্মনিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম জোরদার করবার ব্যবস্থা নিতে হবে। পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম পরিচালিত হয় সরকারের “স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা কার্যক্রম” এর মাধ্যমে। এই কার্যক্রমের আগামী ২০১১-১৬ মেয়াদের জন্য ২৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে। যা বর্তমান মেয়াদের (২০০৫-১০) বাজেট থেকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা কম। আমরা মনে করি, জনবিস্ফোরণের সংকটকে কার্যকরভাবে মোকাবেলা করার জন্য নারীকে শিক্ষায়, কর্মদক্ষতায় ও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে ওঠবার সুযোগ বাড়াতে হবে।
নারী কৃষিশ্রমিকদের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতকরণে পদক্ষেপ গ্রহণ
নারীর শ্রমকে দৃশ্যমান করার নীতি গ্রহণ নারীনীতি ২০১১’র একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। একাধিক ধারায় এই নীতির প্রতিফলন ঘটেছে। যেমন, ২৩.৯ ধারায় বর্ণনা করা হয়েছে জাতীয় অর্থনীতিতে নারীর অবদান প্রতিফলনের জন্য বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোসহ সকল প্রতিষ্ঠানে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ২৩.১০ ধারায় বলা হয়েছে, সরকারের জাতীয় হিসাবসমূহে, জাতীয় উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে কৃষি ও গার্হস্থ্য শ্রমসহ সকল নারীশ্রমের সঠিক প্রতিফলন ও মূল্যায়ন নিশ্চিত করা। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নারীর শ্রম স্বীকৃত হলে কৃষি উপকরণ, বীজ, সার, কৃষক কার্ড, ঋণ সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে নারী কৃষিশ্রমিকদের সমান সুযোগ নিশ্চিত করাও সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য কৃষিক্ষেত্রে গৃহীত প্রকল্পগুলোতে নারীর জন্য কোটা রাখা, কৃষি উপকরণ প্রদানের জন্য কেবল নারীর জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা ও কৃষিঋণ প্রদানের জন্য পৃথকভাবে নারীর জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন যারা কোনো প্রতিফলন পেশকৃত বাজেটে নেই।
নারীউদ্যোক্তা বিকাশ
শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে গত তিন দশকে নানা বাজেটীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, যার প্রায় প্রতিটি পদক্ষেপই ছিল ক্ষুদ্রঋণভিত্তিক। কিন্তু ক্ষুদ্রঋণভিত্তিক কর্মের লাভজনকতা ও প্রসারের সম্ভাবনা খুব কম হওয়ায় গত কয়েক বছরে আর কর্মসম্ভাবনা বৃদ্ধি পায় নি। তবে গত কয়েক দশকে ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে যে নারীউদ্যোক্তা গোষ্ঠীটি গড়ে উঠেছে, সহায়তা পেলে তারা মধ্যম বা বৃহৎ উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠতে পারবে।
সম্পদে নারীর সীমিত প্রবেশই নারীউদ্যোক্তাদের বিকাশের জন্য সবচাইতে বড়ো প্রতিবন্ধকতা। সম্পদে নারীর প্রবেশ বৃদ্ধি এবং সহজ করার জন্য বাজেটে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা আমরা বলে আসছি। যেমন নারীউদ্যোক্তাদের জামানতবিহীন ঋণ প্রদানে উৎসাহিত করার জন্য বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া। কিন্তু এবারের বাজেটেও তার প্রতিফলন হলোনা। নারী উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্যও কোনো বরাদ্দ নেই।
নারীর দিকে সরাসরিভাবে সম্পদপ্রবাহ বৃদ্ধি করার জন্য নারীদের প্রতি কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবিও আমরা জানিয়ে আসছি। যেমন নারীর উপার্জন, সম্পত্তি এবং পুঁজির ওপর কর মওকুফ করা; স্বামী-স্ত্রী উভয়ের নামে বাড়ি নথিভুক্তকরণ ও উভয়ের নামে সম্পত্তি কর প্রদান করার নিয়ম করা; নারীকে যে সম্পত্তি উপহার হিসেবে দেওয়া হয়, সে সম্পত্তি থেকে গিফট ট্যাক্স মওকুফ করা; নারীর মালিকানা ও পরিচালনাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিভিন্ন ট্যাক্স ব্রেক অথবা ট্যাক্স হলিডে সুবিধা দেওয়া ও নারীউদ্যোক্তারা যাতে সহজেই গ্যাস, বিদ্যুৎ ও টেলিফোন সংযোগ পেতে পারেন, সেজন্য রাজস্ব বাজেটে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া। এর কোনোটিরই প্রতিফলন আমরা বাজেটে পাইনি।
সামাজিক নিরাপত্তা
বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে “বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা নারীর জন্য দুঃস্থ ভাতা” কার্যক্রমের শিরোনাম থেকে পরিত্যক্তা শব্দটি বাদ দেয়ার কথা আমরা বলছি। আমাদের কর্ম অভিজ্ঞতা থেকে আমরা জানি যে বিধাব নারীরা দুঃস্থ্ হিসেবে করুণা চাযনা। তারা চায় কাজের মাধ্যমে মর্যাদাপূর্ণ জীবন। তাই ভাতা না দিয়ে তাদের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্প রাখা যেতে পারে।
বাজেটে মাতৃত্বকালীন ভাতার সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৮০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৯২ হাজার করার কথা বলা হয়েছে। অথচ তার জন্য বরাদ্দ গতবারের ৬৬.৪ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ৪২.৫ কোটি টাকা রাখা হয়েছে। এতে ভাতার পরিমাণ অনেক কমে যাবে।
--------------
জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি বাস্তবাযন করার প্রধান মাধ্যম হবে জাতীয বাজেট। এজন্য প্রথম প্রয়োজন হলো বাজেটে নারীর জন্য বরাদ্দের গতানুগতিক পদ্ধতি ও মানসিকতার উত্তরণ ঘটানো। তাই জাতীয় বাজেটে নারী নীতির বাস্তব প্রতিফলনের জন্য আমরা জোর দাবি জানাই।
আমরা মনে করি, জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১ বাস্তবায়নে সরকারকে অবিলম্বে সুনির্দিষ্ট সময়ভিত্তিক আশু, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ-প্রক্রিয়া শুরু করা দরকার। কালবিলম্ব না করে সময়সীমা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা/বিভাগ, বাজেট ইত্যাদি উল্লেখপূর্বক যথাসম্ভব দ্রুত বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। তাছাড়া ঘোষিত নারীনীতি বাস্তবায়নের জন্য এর সঙ্গে যুক্ত সরকারের সকল পর্যায়ের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করা ছাড়াও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে অবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রণালয় হিসেবে গড়ে তোলা প্রয়োজন। এ মন্ত্রণালয়ের আওতায় উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত প্রয়োজনীয় সংখ্যক নারীসহায়ক দক্ষ লোকবল নিয়োগ দেওয়ার ব্যবস্থা করা দরকার, যাঁরা নারীনীতির টার্গেট অনুযায়ী কাজ করবেন। পাশাপাশি গৃহীত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক ম্যাকানিজম পূর্ণাঙ্গভাবে প্রতিষ্ঠা করা, তার দক্ষতা ও ক্ষমতার আওতা বাড়ানো দরকার। নারীনীতি বাস্তবায়নের সাথে যুক্তদের জেন্ডার সংবেদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা দরকার।
ফয়সাল বিন মজিদ
সমন্বয়কারী, বিএনপিএস